বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫৮ পূর্বাহ্ন
বিশেষ প্রতিবেদক (সুনামগঞ্জ): সুনামগঞ্জের দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার পূর্বপাগলা ইউনিয়নের দামোধরতপী ও মামদপুর পয়েন্টের দোকানগুলোতে অবাদে চলছে শিলং তীর নামক রমরমা জুয়ার আসর। ঐ সমস্ত জুয়ার আসরে বিভিন্ন অঞ্চলের জুয়ারীদের পাশাপাশি এলাকার যুবকরা ঝুকছে জুয়া খেলার দিকে। ফলে বর্তমানর প্রজন্মের যুবকদের ভবিষ্যৎ নিয়ে রীতিমতো শংঙ্কিত তাদের অভিভাবকরা। স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়, সিলেট এয়ারপোর্ট এলাকার শিলং তীর নামক রমরমা জুয়ার আসরের উদ্যেক্তা তার মাধ্যমে মোবাইল ফোনের ওয়ার্ডসাপ এবং ইমু ও টোকেনের মাধ্যমে দামোধরতপী ও মামদপুর পয়েন্টের দোকানগুলোতে স্থানীয় তার কিছু বখাটে জুয়ারী দামোধরতপী গ্রামের উকিল আলীর ছেলে রায়হান, তার সহোদর মারজান, আকিল আলীর ছেলে যুবরাজ তার সহোদর মহারাজ, রাজা মিয়ার ছেলে কয়েছ মিয়া, মৃত রকদ্দুছ আলীর ছেলে রাসেল, মামদপুর গ্রামের আকলিছ মিয়ার ছেলে কাচাবেটা, চেরাগ আলীর ছেলে শহীদ মিয়া, আকদ্দছ আলীর ছেলে সাইদুল ও আকিক মিয়াগংদের সহযোগিতায় এ জুয়ার আসর বসে। আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের চোখ ফাঁকি দিয়ে ঐ সমস্ত দোকানগুলোতে জুয়ার আসর বসে এবং প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার জুয়া খেলা অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি বন্ধ করে জুয়া খেলার আসর বসলেও কারো প্রতিবাদ করার সাহস নেই।
এদিকে রাস্তা বন্ধ করে জুয়ার আসর বসার কারণে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন বিশেষ করে মহিলাদের প্রতিনিয়ত চলাচলে সবাই উদ্বিগ্ন রয়েছেন। ঐ সমস্ত জুয়ারীদের প্রতিনিয়ত আনোগোনার কারণে একদিকে ঐ এলাকার পরিবেশ যেমন নষ্ট হচ্ছে, তেমনিভাবে জুয়া খেলা নিয়ে যেকোন দিন সংঘর্ষের আশংঙ্কাও রয়েছে জনমনে। এ ঘটনায় দামোধরতপী গ্রামের মৃত ইসরাইল আলীর ছেলে মোঃ রফিক মিয়া গত ১ জুন নিজে বাদি হয়ে একই গ্রামের আকিল আলী, উকিল আলী, যুবরাজ, মহারাজ, রায়হান ও কয়েছগংদের আসামী করে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-৭৯/০১। মামলা দায়ের সাথে সাথে এ ঘটনায় ডিবি পুলিশ আকিক মিয়া, কয়েছ, সাইদুল শায়েদকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতদের দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মোবাইল কোর্টের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আলমগীর কবিরের আদালতে উপস্থিত করা হলে তাদের প্রত্যেককে আর্থিক জরিমানা করে ছেড়ে দেয়া হয়। কথায় আছে না চোর না শুনে ধর্মের কাহিনী। ঐ সমস্ত জুয়ারীরা পূনরায় আবারো শুরু করে দিয়েছেন সেই জুয়ার আসর। স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ এ থেকে উত্তরণে স্থানীয় প্রশাসন কঠোর পদক্ষেপ নিলে এই স্পটগুলোতে চিরদিনের জন্য জুয়ার আসর বন্ধ করা সম্ভব। এ ব্যাপারে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ঐ সমস্ত স্পটগুলোতে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।